নাগরিকত্ব বিল নিয়ে অমিত শাহ কি বললেন, দেখে নিন। জানার খুব দরকার সকলের
Respected Amit Saha ji speeches,
CAB (Citizen Amendment Bill-নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল) পাস হলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফনিস্তান থেকে আগত শরণার্থী হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, ক্রিশ্চান, জৈন, পার্সি'রা ভারতবর্ষের নাগরিকত্ব পাবেন। ২০১৬ সাল থেকে এই বিলটিকে পাস হতে দেয়নি কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল ও অন্যান্য বিরোধী দল। আগামী সংসদ অধিবেশনে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হতে চলেছে। এবার বিরোধীরা বিলটি আটকে রাখতে পারবে না। কারণ এখন রাজ্যসভাতে শাসক জোটের সংখ্যাধিক্য ঘটেছে।
CAB পাস হয়ে গেলে বিরোধী ও সংবাদ মাধ্যমের একাংশ NRC নিয়ে অপপ্রচার চালাতে পারবে না। কারণ তখন স্পষ্ট হয়ে যাবে NRC কেবল অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে প্রয়োগ হচ্ছে। শরণার্থীদের জন্য নয়। মিথ্যা পাচার চালিয়ে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়াতে পারবে না এই রাষ্ট্র বিরোধী শক্তি।
সিটিজেন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল (CAB) ও শরণার্থী এবং
অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ও সন্ত্রাসবাদ সমস্যা শীর্ষক একটি অনবদ্য প্রতিবেদন, অবশ্যই পড়ুন।
হিন্দু উদ্বাস্তু বা শরণার্থী এবং বেআইনি অনুপ্রবেশকারীর পার্থক্য :-
রাষ্ট্রসঙ্ঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক দপ্তর ' ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশন অফ রিফিউজিস' (U N H C R) ১৯৪১ সালের জেনেভা কনভেনশন এবং ১৯৬৭ সালের উরুগুয়ে প্রটোকল অনুসারে উদ্বাস্তু বা শরণার্থী সংজ্ঞা : "যদি কোনও দেশের কোনও মানুষ জাতি, ধর্ম, রাষ্ট্রীয়তা, সামাজিক বা রাজনৈতিক কোনও বিশেষ দলের সদস্য হওয়ার জন্য নিজের দেশে অত্যাচারিত হন এবং গভীর ভয়ের জন্য দেশে ফিরতে না চান, তবে ওই মানুষটি দ্বিতীয় বা আশ্রয়দাতা দেশে উদ্বাস্তু বা শরণার্থী হিসেবে গণ্য হবেন।"
সেই কারণে ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্য বাংলাদেশে উচ্চবর্ণ/ নিম্নবর্ণ নির্বিশেষে নির্যাতিত হয়ে ভারতে আসা প্রত্যেক হিন্দুই শরণার্থী বা উদ্বাস্তু। কিন্তু ভারতকে কর্মসংস্থান ও ব্যবসার বিরাট বাজার মনে করে বা বিনা যুদ্ধে ভারত দখলের নীতিকে কার্যকর করার জন্য বা খাগড়াগড়ের মতো বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য যেসব বাংলাদেশি মুসলিম ভারতে এসেছে তারা সবাই বেআইনি অনুপ্রবেশকারী। তাই অনুপ্রবেশকারী শব্দ মাত্রই স্পষ্ট ভাবে ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করা মুসলিমদের বুঝতে হবে।
আপনারা কখনও ভেবে দেখেছেন কি?
১) দেশভাগের যোজনা অনুযায়ী ১৯শতাংশ মুসলমানদের জন্য ২৩ শতাংশ জমি দেওয়া হয়। বাবাসাহেব আম্বেদকর, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী সহ আরো অনেকের সম্পূর্ণ লোক-বিনিময়ের প্রস্তাব কে নেহেরু অগ্রাহ্য করেন।
২) পরিণামে, হিন্দুদের উদারতায় অধিকাংশ মুসলমান ভারতে থেকে যায়। কিন্তু পাকিস্তানে ধারাবাহিক নির্যাতনের ফলে হিন্দুরা বিতাড়িত হতে হতে পাকিস্তান প্রায় হিন্দু শূন্য হয়ে যায়।
৩) বাংলাদেশকে স্বাধীন করে দেওয়ার সময়, ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ তারিখের পর ভারতে বাংলাদেশ থেকে কোন হিন্দু আসবেন না এই মর্মে মুজিবের সঙ্গে চুক্তি করেন। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যাতে একজনও হিন্দুকে নির্যাতিত হয়ে ভারতে আসতে না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার সক্রিয় ও আগ্রাসী ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশের উপর কোনও ধারাবাহিক চাপ বজায় রাখেনি । ফলে বাংলাদেশ থেকে নির্যাতিত হিন্দুর শরণার্থী হয়ে ভারতে আসা বন্ধ হয়নি এবং হিন্দুর সংখ্যা সেখানে ২৯% থেকে কমে ৮% হয়েছে।
৪) এই বাড়তি হিন্দু শরণার্থীর চাপ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য বিশেষভাবে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা - কে নিতে হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ থেকে পরিকল্পিতভাবে ভারতে আসা বেআইনি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের চাপ।
৫) কেন্দ্রের কংগ্রেস এবং এই তিনটি রাজ্যের রাজ্য সরকারগুলি একদিকে হিন্দু বাঙালি শরণার্থী/ উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্বের বিষয়ে কোনও স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি; ২৪ মার্চ ১৯৭১- এর পর যে সব বাঙালি হিন্দু শরণার্থী এদেশে এসেছেন তাদের ভবিষ্যৎ, তাদের নাগরিকত্বের ব্যাপারে কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার বরাবর নীরব থেকেছে; অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে বেআইনি মুসলিম অনুপ্রবেশ বন্ধ করারও কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি।
৬) পশ্চিমবঙ্গের পূর্বতন কংগ্রেস, বামফ্রন্ট এবং বর্তমান রাজ্য সরকার ২৪ মার্চ, ১৯৭১-এর পর আসা হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্বের বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে তদ্বির করেনি। উদ্বাস্তুদের সুষ্ঠ পুনর্বাসনের জন্য কোনও বাস্তবোচিত, পরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে বেআইনি মুসলিম অনুপ্রবেশ বন্ধ করারও কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি।
৭) কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকার অবস্থার বিপাকে শরণার্থী হয়ে আসা সচ্ছল অবস্থাপন্ন বাঙালি হিন্দুদের পুনর্বাসনের জন্য দণ্ডকারণ্যে পাঠিয়ে দেয়, যে দণ্ডকারণ্য স্বাধীনতার এত বছর পরেও কৃষি-শিল্প কর্মসংস্থান - আর্থিক উন্নতি সব দিক থেকে এতটাই পিছিয়ে যে এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সেখানে মাওবাদীদের ঘাঁটি তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ অসহায় হিন্দু শরণার্থীরা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের অবহেলা ও অবিচারের শিকার হয়েছে।
৮) এদের এই দায়িত্বহীনতার জন্য আজ অসমে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাঙালি হিন্দু শরণার্থীরা স্থানীয় অসমীয়াদের কাছে অপ্রিয় হয়ে এন আর সি-র জাতাকলে পড়েছেন। স্থানীয় অসমীয়া হিন্দুদের সঙ্গে তাদের একটা প্রাদেশিক বা আঞ্চলিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
৯) গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো, অসমীয়াদের চাপে রাজীব গান্ধী, ইন্দিরা- মুজিব চুক্তিতে উল্লিখিত ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ তারিখের ভিত্তিতে তাদের সঙ্গে চুক্তি করেন যার পরিণাম শুধু অসমের জন্য এই এন আর সি। কিন্তু কেন্দ্রের ও অসমের কংগ্রেস সরকার যাতে বাঙালি হিন্দুরা সেই অনুযায়ী বৈধ নথিপত্র তৈরি করতে পারেন তার জন্য আগ্রহ দেখায়নি। তাই প্রায় ১২লক্ষ বাঙালি হিন্দুর নাম ওঠেনি।
১০) অন্যদিকে অসাধু আধিকারিকরা অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের বৈধ নথিপত্র তৈরি করে দিয়েছে।
১১) অসম থেকে যাচাইয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে পাঠানো বহু নথিপত্র পূর্বতন বামফ্রন্ট এবং বর্তমান রাজ্য সরকারের অবহেলা ও তাচ্ছিল্যের কারণে যাচাই করে ফেরত পাঠানো হয়নি। ফলে বহু হিন্দু শরণার্থী দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন।
১২) এই প্রথম কোনও কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তান বা বাংলাদেশ থেকে আগত মূলত হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬ এনেছে।
এর আগে কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকারের দায়িত্বহীনতা, বোকামির জন্য নাগরিকত্ব আইনের ধারা ৩ - এর (জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব) ফাঁক গলে বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের সন্তানরাও সহজেই জন্মসূত্রে ভারতীয় নাগরিকত্বের দাবিদার । সেটা ঠেকানোর জন্য দূরদর্শী ও দেশের স্বার্থ রক্ষায় কটিবদ্ধ পূর্বতন 'বাজপেয়ী সরকার', ২০০৩ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনীর মাধ্যমে বাবা-মায়ের একজনও যদি বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হয় তবে ভারতে জন্মানো কোনও ব্যক্তি ভারতের নাগরিক হতে পারে না তা নিশ্চিত করেছে।
১৩) এই ধারা ৩ - এ উল্লিখিত ,' অনুপ্রবেশকারী,' শব্দ নিয়ে অনেকের মনে একটু সংশয়,বিভ্রান্তি থাকায় তা দূর করতে ২০১৬ সালের সংশোধনীতে পূর্বতন ও বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার আরো স্পষ্ট ভাবে বলেছে যে:- আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ,পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষ ভাবে হিন্দু-বৌদ্ধ জৈন পারসি-খৃষ্টান যাদেরকে কেন্দ্রীয় সরকার পাসপোর্ট আইন ১৯২০ - র ধারা ৩ এর উপধারা (২) অনুসারে অথবা ফরেনার্স অ্যাক্ট, ১৯৪৬ প্রযুক্ত হওয়া থেকে ছাড় দিয়েছে, তারা এই আইনের (নাগরিকত্ব আইন) জন্য বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসাবে বিবেচিত হবেন না।
১৪) শুধু তাই নয়, ২০১৬ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ তারিখের পরিবর্তে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে আগত সমস্ত হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার শুভ উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ।
সুতরাং এককথায় বলা যায় যে 'নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬' হচ্ছে বাঙালি হিন্দু শরণার্থীদের সুরক্ষা - কবচ। বাঙালি হিন্দু শরণার্থীদের এ দেশ থেকে তাড়ানো বা ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখার জন্য নয়। বরং, যাতে আবার অসমের মতো অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি না হয় তার জন্য একটি স্থায়ী ,শুভ ও মহৎ উদ্যোগ।
অথচ বিগত কিছু দিন ধরে ‘এন আর সি’-নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বাঙালি অস্মিতার ঢেউ উঠেছে। বাঙালিদের না কি দলে দলে এদেশ থেকে তাড়ানো হবে - এই বলে স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবী, নিহিত ক্ষুদ্র ও দলীয় স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক দল,নেতা এবং তথাকথিত বাঙালি সুশীল সমাজের কিছু মাথা সমস্ত রকম সুযুক্তিকে জলাঞ্জলি দিয়ে গল্পের ছাগলকে গাছে তুলতে ও সহজ সরল মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ব্যস্ত। এদের আসল উদ্দেশ্য কি?
১) রাজনৈতিক দল ও নেতাদের উদ্দেশ্য হলো, বাঙালি আবেগের আড়ালে হিন্দু বাঙালি শরণার্থীদের সঙ্গে বাংলাদেশি বেআইনি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের একই গোত্রভুক্ত করে তাদেরকে আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেওয়া। ভারতের অখন্ডতা, নিরাপত্তা, জন বিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট করে; ভারতীয় নাগরিকদের সরকারি সুযোগ সুবিধা, কর্মসংস্থানে ভাগ বসানোর ব্যবস্থা করার বিনিময়ে বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারী দের 'ভোট ব্যাংক' হিসেবে ব্যবহার করা এবং তাদের ভোটে জিতে নিজেদের দলীয় ও ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র স্বার্থকে চরিতার্থ করা , দীর্ঘ দিন ক্ষমতার মধু চেটেপুটে খাওয়া।
২) এই বাঙালিত্বের জিগির তোলা বুদ্ধিজীবীরা আসলে না ‘বাঙালি’, না ‘হিন্দু’, না ‘ভারতীয়’। এরা আদ্যপ্রান্ত পেশাজীবী। এদের একমাত্র লক্ষ্য হল অর্থ ও প্রতিষ্ঠা। এদের সাহিত্য, চলচ্চিত্র, কবিতা সবই বাংলা ভাষা কেন্দ্রিক। আসলে এরা দুই বাংলারই বাংলাভাষী মুসলিমদের (বাঙালি নয়। অবশ্য, অতি নগণ্য কিছু ব্যতিক্রম থাকতে পারে। ) মন জয় করতে চায় যাতে এদের সাহিত্য, প্রবন্ধ, চলচ্চিত্র, নাটকের পাঠক, শ্রোতা বা দর্শক বাড়ে এবং তাদের উপার্জন ও প্রতিষ্ঠাও বাড়ে। এর বিনিময়ে বাঙালি হিন্দুরা যাতে হিন্দুত্ব ভুলে যায় তার জন্য এরা সচেষ্ট।
সব শেষে যারা এত 'বাঙালি' অস্মিতার ধূয়ো তুলেছেন তাঁদের উদ্যেশে বিনীত প্রশ্ন-
ক) যদি বাঙালি পরিচয়ই হিন্দু-মুসলমানের পারস্পরিক সম্প্রীতির ভিত্তি হয় তাহলে কয়েক কোটি বাঙালি হিন্দু বাঙালি পরিচয়ের গর্ব নিয়ে বাংলাদেশে কেন থাকতে পারলেন না ? শুধু হিন্দু হওয়ার অপরাধে কেন তাদের উদ্বাস্তু বা শরণার্থী হয়ে ভারতে আসতে হল ? তাহলে কি এটাই প্রমাণ হয় না যে, ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হলে তারা আর বাঙালি থাকে না। (অবশ্য অতি নগণ্য কিছু ব্যতিক্রম থাকতে পারো)
খ) বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দু শরণার্থীরা অসম, ত্রিপুরা,ঝাড়খন্ড, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি সহ বিভিন্ন রাজ্যে বসবাস করছেন। অসমের বুকে চিন, আই এস আই মদতপুষ্ট আলফা জঙ্গিদের দ্বারা সংঘটিত কয়েকটি নারকীয় হিংসাত্মক ঘটনা ছাড়া বাঙালি হিন্দু শরণার্থীদের কোনও অবাঙালি অধ্যুষিত রাজ্য থেকে বিতাড়িত করা হয়নি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখমন্ত্রী জ্যোতি বসু যিনি নিজে উদ্বাস্তু হয়েও মরিচঝাঁপিতে কয়েক হাজার বাঙালি হিন্দু শরণার্থীকে নেড়ি কুকুরের মতো গুলি করে কুমির, কামটের মুখে ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তিনি কি 'বাঙালি' পদবাচ্য ? নাকি তিনি অবাঙালি ছিলেন ?
গ) যে সব রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী বাঙালি হিন্দু শরণার্থীদের সঙ্গে বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের একই গোত্রভুক্ত করে 'বাঙালি বাঙালি' বলে চেঁচিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনমত গড়ে তুলে তাদেরকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করুন।
ঘ) তারা আপনাদের বিভ্রান্ত করতে আসলে দাপটের সঙ্গে বলুন যে, তারা যদি সত্যিই হিন্দু বাঙালি শরণার্থী বা উদ্বাস্তু প্রেমী হয় তবে তারা যেন রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬ পাস করিয়ে সমস্ত হিন্দু বাঙালি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের যে শুভ উদ্যোগ বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার নিয়েছে তা বাস্তবায়িত করে।
Comments
Post a Comment